Evernote এর কম্পিউটার ভার্শন থাকলেও মূলত এখানে আমি Evernote app নিয়ে আলোচনা করবো। অবশ্য এর অ্যাপ ব্যবহার করলে আপনি কম্পিউটার ভার্শনও ব্যবহার করতে পারবেন খুব সহজে। এর কম্পিউটার ভার্শন মূলত exe ফরম্যাটের যা উন্ডোজে খুব সহজেই ইন্সটল দিয়ে নিতে পারবেন কিন্তু এটা লিনাক্সের কোন ভার্শনে ইন্সটল দিতে গেলে সেখানে আপনি আগেwine ইন্সটল দিয়ে নিবেন। (wine ইন্সটল দিলে ইউন্ডোজের অনেক সফটওয়ারই লিনাক্স ব্যাজড অপারেটিং সিস্টেমে ইন্সটল দেয়া যায়, তার মধ্যে এভারনোট একটি)
এখন সরাসরি চলে যাই এভারনোটের অ্যাপ প্রসঙ্গে-
গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে Evernote লিখে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন খুব সহজে অ্যাপটি। তাই এখানে তার ডাউনলোড লিংক দিলাম না আর এন্ড্রয়েড অ্যাপ প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড দিয়ে নেয়াই ভাল।
এবার দুই ক্লিকে অ্যাপটি ইন্সটলের পর আপনি এটা ব্যবহার করতে প্রস্তুত হয়ে যাবেন কিন্তু হ্যা এর আগে আপনাকে আপনার মেইল ব্যবহার করে এভারনোট এ একটি আইডি খুলে নিতে হবে আর এই সাইন আপের ব্যাপারটা ফেইসবুকে সাইনাপের চেয়েও সহজ...! আর সাইন আপ কেন করতে হবে সেটাও সোজা বাংলায় বুঝিয়ে বলছি- আইডি খুলতে হবে এই জন্যে যে আপনি এখানে যা লিখে জমা রাখবেন, যে তথ্য সংগ্রহ করে রাখবেন তা এই অ্যাপটি নেট কানেকশন পেলে তাদের নিজস্ব সার্ভারে আপনার আইডিতে তা জমা করে রাখবে। তাতে করে আপনার এই অ্যাপ যদি আনইন্সটল হতে যায় কিংবা আপনার মোবাইল হারিয়ে যায়(আল্লাহ না করুক) তাহলে এরপরে অন্য মোবাইলে কিংবা পিসিতে এভারনোট ইন্সটল দিয়ে যদি আবার আপনার সে পুরনো আইডি দিয়ে লগিন হোন(তখন নেট কানেকশন থাকতে হবে) দেখবেন আপনি আপনার সব পুরনো তথ্য ফিরে পাবেন। আর এই সার্ভারে তথ্য সংরক্ষিত থাকার প্রক্রিয়াকে বলে Synchronize হওয়া।এটা অটো হয়ে থাকে অবশ্য চাইলে sync এ ক্লিক করে নিজেও synchronize করতে পারেন। এভাবে আপনি মোবাইল রিসেট করার আগে আপনার সব মোবাইল নাম্বারও সিলেক্ট করে এভারনোটের একটা নোট আকারে রেখে দিতে পারেন পরে আবার এভারনোট ইন্সটল দিয়ে সে ফাইলটা তো পাবেন সেখান থেকে আবার কন্টাক্ট এ ইম্পোর্ট করে নিতে পারবেন সব মোবাইল নাম্বার। sync এর জন্যে নেট কানেকশন রাখতে বলেছি বলে ভাববেন না যে অনেক ডাটা খেয়ে ফেলবে। মাত্র কিছু কিলোবাইটই ব্যবহার করবে এর জন্যে এই অ্যাপ।
এ গেলো এভারনোটের মৌলিক সুবিধা।
আপনি যদি ফেইসবুক সেলিব্রেটি কিংবা ব্লগার হোন তাহলে হয়তো আপনাকে অনেক লেখা সেভ করে রাখতে হবে তার জন্যে এই এভারনোট একদমই পার্ফেক্ট। আর সব লেখা চাইলে আপনি তাদের ধরণ অনুসারে আলাদা আলাদা নোটবুক তৈরি করে রাখতে পারবেন। উপরে একটা প্লাস চিহ্ন দেখবেন, সেটাতে ক্লিক করেই নোট বুক তৈরি করে ফেলুন।
নিজের ইচ্ছে মতো নোটবুক তৈরি করে তার মধ্যে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় নোট তৈরি করে রাখুন। আর আপনার নোটবুকের সংখ্যা যদি বেশি হয় তবে আপনি একই ক্যাটাগড়ি কিংবা কাছাকাছি ক্যাটাগড়ির নোটবুক এর জন্যে একটা করে stack তৈরি করতে পারে আর তার মধ্যে নোটবুক গুলো রেখে দিন অর্থাৎ stack এ থাকবে notebook আর নোটবুক এ থাকবে note. একেবারেই সব গুছিয়ে রাখার জন্যে।
আরেকজন এভারনোট ইউজারের সাথে চ্যাট করার ফিচারও এখন এর সাথে সংযুক্ত আছে। এতে আছে আর রিমাইন্ডারের সুবিধা, নির্দিষ্ট নোট বা নোট বুক চাইলে হোমে শর্টকাট করে রাখতে পারবেন নিজের সুবিধার্থে। নোটের সাথে যুক্ত করে রাখতে পারবেন প্রয়োজনীয় ছবিও। আপনি আপনার নোটের লিংকও শেয়ার করতে পারবেন। আরো আছে অনেক ফিচার যা আমি নিজেও এখনও ব্যবহার করে দেখি নি।
কিন্তু ছোট্ট একটা সীমাবদ্ধতা আছে আর তা হলো আপনাকে এসব কাজের জন্যে ৬০ মেগাবাইট জায়গা পাবেন মাত্র। তবে এর বেশি জায়গার প্রয়োজন পরলে আপনাকে প্রিমিয়াম একাউন্ট করতে হবে টাকা দিয়ে। আর প্রিমিয়াম করলেও অনেক সুবিধা পাবেন। আগে অ্যাপটা ইন্সটল দিন তাহলে বুঝতে পারবেন। আপনার কাছে এখন হয়তো ৬০ মেগাবাইট লেখা জমিয়ে রাখার জন্যে কম জায়গা মনে হচ্ছে কিন্তু আসলে শুধু লেখা রাখতে গেলে বুঝবেন তা আসলে কি পরিমাণ জায়গা। তখন প্রিমিয়াম একাউন্টের প্রয়োজন অনুভব নাও করতে পারেন।(আমার মত)
আর টাকা খরচ না করেও আপনি চাইলে প্রিমিয়াম একাউন্টের সুবিধা পাবেন আর তাহলো নিজের বন্ধুদের মেইলের মাধ্যমে রেফার করে। একজন বন্ধু সে লিংকে ঢুকে সাইন আপ করলে আপনি পাবেন দশ পয়েন্ট আর এভাবেই আপনি আপনার একাউন্টকে plus কিংবা premium এ নিয়ে যেতে পারবেন।
অনেক কথা বলে ফেললাম।
এবার আমার কথা রেখে এভারনোট ব্যবহার শুরু করে দেখুন। সেটিং এ গিয়ে বাক বাকি অনুসন্ধান করে নিন।
আরো বিস্তারিত পেতে- এখানে ভিজিট করুন।
এবার আমার কথা রেখে এভারনোট ব্যবহার শুরু করে দেখুন। সেটিং এ গিয়ে বাক বাকি অনুসন্ধান করে নিন।
আরো বিস্তারিত পেতে- এখানে ভিজিট করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন